স্টাফ রিপোর্টারঃ জরুরি চিকিৎসা যন্ত্রাংশ অকোজো হয়ে পড়ে রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরের বিভিন্ন স্থানে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজনীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স ২টি দির্ঘদিন যাবত অকোজো হয়ে পড়ে রয়েছে। তাছাড়া শিশু ও কিশোরীদের টিকা সংরক্ষণের রেফ্রিজেটরগুলোও অকোজো হয়ে পড়ে রয়েছে।
অপারেটরের অভাবে পড়ে রয়েছে আধুনিক এক্স-রে মেশিন। বিকল হয়ে রয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাম। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইরনবেড সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য চিকিংসা যন্ত্রাংশ পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা মিলে।
দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান সভাকক্ষের পাশেই পুরাতন ১টি এ্যাম্বুলেন্স ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের পেছনে আড়াই বছর আগের কেনা আধুনিক ১টি এ্যাম্বুলেন্স পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। জানা যায়, ১ম এ্যাম্বুলেন্সটি বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সমস্যায় আর আধুনিক এ্যাম্বুলেন্সটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মেরামতের অভাবে পড়ে রয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় আইরন বেডসহ সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্র যথাযথ ব্যবহারের অভাবে এবং টিকা সংরক্ষণের ৯টি রেফ্রিজারেটর নষ্ট ও নতুন এক্স-রে মেশিন স্থাপন ও অপারেটরের অভাবে এবং আল্টাসনোগ্রাম মেশিন বিকল হয়ে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। এ সমস্ত জরুরি জিনিসপত্র পড়ে থাকায় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যঘাত ঘটছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, বিকল হয়ে পড়া থাকা চিকিৎসা সামগ্রী মেরামতের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পত্র দিয়েছি। বরাদ্দের অভাবে এগুলো মেরামত করা যাচ্ছে না। ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার মুঠোফোনে বলেন, জেলা থেকে এত কিছু দেখা সম্ভব না। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়েছে তিনি এগুলো দেখভাল করবেন। তারপরেও যেহেতু আপনি বললেন মেরামতযোগ্য চিকিৎসাসামগ্রী পড়ে থাকলে অব্যশই তা মেরামত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের লোকবল কম তাছাড়া করোনার কার্যক্রম নিয়ে আমরা ব্যাস্ততায় রয়েছি।